শেখ সাইফুল ইসলাম কবির: বাগেরহাটেরআশ্রয়নের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার” এই সেøাগান নিয়ে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্র্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় ৪৩৩টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে গৃহহীনদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৫২, কচুয়ায় ৩০, চিতলমারী ১৭, মোল্লাহাটে ৩৫, ফকিরহাটে ৩০, রামপালে ১০, মোংলায় ৫০, মোরেলগঞ্জে ৬ এবং শরণখোলা উপজেলায় ১৯৭টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩১৫টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
অবশিষ্ট ঘরগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে নির্মাণ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রতিটি বাড়ি নির্মাণ করা হবে। ৪৩৫ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি বেড রুম, টয়লেট, রান্নাঘর, নামাজের জায়গা ও একটি বারান্দা। ঘর ও আশপাশের জমি মিলিয়ে দুই শতক জমি দেওয়া হবে উপকারভোগী প্রতিটি পরিবারকে। টিনসেডের এই ঘরে একটি পরিবার স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারবে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার শ্রীঘাট এলাকায় ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ৫২টি ঘর। এই ঘরগুলোও রয়েছে উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ৫২টি ঘর আমরা নির্মাণ শেষ করেছি। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পরেই নির্বাচিত ভূমিহীনদের কাছে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ৯ উপজেলায় ৪৩৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩১৫টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন শেষে আমরা উপকারভোগীদের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করব।